ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নেওয়া মানুষদেরকে ‘গ্রীন ব্যাজ’ বা পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার সরকারের এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। ইতোমধ্যে টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই গ্রীন ব্যাজ ডাউনলোড করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

করোনার টিকা তো সারা বিশ্বের মানুষ নিচ্ছে মহামারি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য ইসরায়েলি সরকার হঠাৎ এই গ্রীন ব্যাজ বা পরিচয়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা কেন করল? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, করোনার টিকা গ্রহীতারা যেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন, বা প্রয়োজনে বিদেশে যেতে পারেন, রেস্টুরেন্ট বা স্বাস্থ্য ক্লাবে যেতে পারেন; তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার।

গ্রীন ব্যাজ ধীরে ধীরে দেশকে খুলে (স্বাভাবিক করে) দেবে

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

গত ১৯ ডিসেম্বর টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে ইসরায়েল। প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ বাসিন্দাকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ষাটোর্ধ্বদের আগে প্রতিষেধক দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের প্রথম সারিতে টিকা দেয় দেশটি।

এরপর থেকে গত দেড় মাসের বেশি সময়ে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করেছে ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে দেশটির তার মোট ৯৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষকে টিকা দেওয়া সম্পন্ন করেছে। তবে এখনও টিকা নেয়নি, এমন মানুষের মধ্যে করোনা এখনও দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি দেশটিতে দীর্ঘ দুইমাসের লকডাউন শেষ হয়েছে।

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, রোববার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, শপিংমল, জিমনেশিয়াম এবং কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলছে দেশটিতে। নেতানিয়াহু বলেছেন, করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিরাই কেবল কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি পাবেন।

লকডাউনের মধ্যে প্রায় সকল বিমানের জন্যই ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ ছিল। বিমান চলাচল সচল থাকলে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত করোনার ধরনগুলো ইসরায়েলে ছড়িয়ে পারে; এমন আশঙ্কা থেকেই প্রধান বিমানবন্দরও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় নেতানিয়াহু প্রশাসন।

সূত্র: ডেইলি মেইল

টিএম