সম্প্রতি লিবিয়ার মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে অকার্যকর করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন দেশটির প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতি বাশাগা

গাড়িবহরে দুর্বৃত্তদের বন্দুক হামলার পর অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন লিবিয়ার প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতি বাশাগা। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ত্রিপোলির বাইরে তার গাড়িবহরে বন্দুকধারীরা হামলা চালায় বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রোববার লিবিয়ার জাতীয় তেল করপোরেশনের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজধানী ত্রিপোলিতে ফিরছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতি বাশাগা। এরপরই অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তার গাড়িবহরে হামলা চালায় এবং হত্যার চেষ্টা করে। যদিও হামলার পর অক্ষত ছিলেন ৫৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিক।

অন্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, গাড়ি বহরে হামলার পর নিরাপত্তারক্ষীদের পাল্টা হামলায় এক বন্দুকধারী নিহত হয়। আটক করা হয় আরও দুজন হামলাকারীকে।

২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের একনায়ক শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।

এছাড়া দেশটিতে প্রচুর মিলিশিয়া বাহিনী রয়েছে এবং তাদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র। দেশটির জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর পাশাপাশি এসব মিলিশিয়া গোষ্ঠীরও ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

সম্প্রতি এসব সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে অকার্যকর করে যোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতি বাশাগা। এরপরই বিভিন্ন মিলিশিয়া গ্রপের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে, মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে অকার্যকর করার পরিকল্পনার কারণেই তার ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

সূত্র: আলজাজিরা

টিএম