করোনার টিকা নিলেন বাইডেন
ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা নিচ্ছেন বাইডেন
করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা নিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই টিকা নিলে যে কোনো সমস্যা হবে না, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে তা বোঝাতেই মূলত ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বাইডেন ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা নেন এবং এই দৃশ্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা।
করোনার সংক্রমণে আমেরিকায় ইতোমধ্যেই ৩ লাখ ১৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে সেই লড়াইয়ে যেন অনেকটাই নাজুক অবস্থায় রয়েছে দেশটি। ইতোমধ্যেই ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পৌঁছেছে। এরপর গতকাল সোমবারই বাজারে এসেছে মডার্নার ভ্যাকসিন। আর সেই দিনই জো বাইডেন ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ভ্যাকসিন নেয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বাইডেন জানান, আমেরিকার নাগরিকদের তিনি এটা বোঝাতে চান যে, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ। বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল এ সময় স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
এদিকে গত সপ্তাহে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ কর্মসূচিতে মার্কিন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছেন। শুক্রবারই তারা করোনার টিকা নেন। যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও তার স্বামী আগামী সপ্তাহেই টিকা নেবেন। তবে রিপাবলিকানরা ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় বিষয়টি ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে সামনে আনা হচ্ছে বলে জানা জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে অতীতে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তাদের ৯০ দিন অপেক্ষা করা উচিত বলে আগেই জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অ্যাডভাইজারি বোর্ড। কারণ একবার সুস্থ হয়ে ওঠার পর পরবর্তী তিন মাস নতুন করে সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই।
যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার সুরক্ষা কতদিন বজায় থাকবে সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তাই দেরি না করে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
টিএম