লড়াইয়ের আয়োজনে মোরগের আঘাতে মালিকের মৃত্যু
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানায় এক মোরগ লড়াইয়ের আয়োজনে নিজের মোরগের পায়ে বাঁধা ছুরির আঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে রাজ্যের লোথুনুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তবে মৃত ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় ও বয়স প্রকাশ করা হয়নি ওই প্রতিবেদনে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় পুলিশসূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে লোথুনুর গ্রামে মোরগ লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ওই ব্যক্তি তার মোরগ নিয়ে গিয়েছিলেন। লড়াইয়ের জন্য মোরগটির দু’পায়ে সাড়ে তিন ইঞ্চি লম্বা ধারাল দু’টি ছুরির ফলা বিশেষভাবে বাঁধা ছিল।
লড়াইয়ের জন্য সময়মত মোরগটিকে ময়দানে ছাড়া হয়, কিন্তু প্রতিপক্ষকে আঘাতের বদলে সেটি ওই স্থান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। নিজের পলায়নপর মোরগকে ধরতে যখন ওই ব্যাক্তি প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়েন, তখনই মোরগটির পায়ে থাকা ছুরির ফলার আঘাত লাগে তার উরুসন্ধিতে।
বিজ্ঞাপন
ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হলে সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়; কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইতোমধ্যে ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বি জীবন জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা, অবৈধ জুয়া বা বাজির খেলা এবং মোরগ লড়াই আয়োজনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।
ওই মোরগটিও বর্তমানে থানায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। বি জীবন জানিয়েছেন, আদালতে এভিডেন্স হিসেবে সেটিকে হাজির করা হবে।
ভারতে ১৯৬০ সাল থেকে মোরগ লড়াই আইনগতভাবে নিষিদ্ধ; কিন্তু তারপরও প্রতিবছর বিভিন্ন উপলক্ষ্যে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে মোরগ লড়াইয়ের আয়োজন হয়ে থাকে। বিশেষ করে সংক্রান্তির সময় এই আয়োজন হয় সবচেয়ে বেশি।
নিজের লড়িয়ে মোরগের আঘাতে মৃত্যুর ঘটনাও ভারতে এই প্রথম নয়। গত বছর অন্ধ্র প্রদেশে এক ব্যাক্তি এভাবে মারা গিয়েছিলেন। মোরগটির পায়ে বাঁধা ছুরির আঘাত তার ঘাড়ে লেগেছিল।
সূত্র: বিবিসি
এসএমডব্লিউ