সৌদি যুবরাজের শাস্তি চাইলেন খাশোগির বাগদত্তা
সাংবাদিক জামাল খাশোগির বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিজ
সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যায় অভিযুক্ত সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও দেশটির প্রকৃত নেতা মোহাম্মদ বিন সালমানের শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিজ। সোমবার (১ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি করেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবৃতিতে জামাল খাশোগির বাগদত্তা বলেন, ‘এর (যুবরাজের শাস্তি নিশ্চিত করার) মাধ্যমে শুধু যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে তাই নয়, একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের নৃশংসতা রোধ করাও সম্ভব হবে।’
বিজ্ঞাপন
এর আগে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও দেশটির প্রকৃত নেতা মোহাম্মদ বিন সালমান নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ‘হত্যার অনুমোদন’ দিয়েছিলেন বলে শুক্রবার প্রকাশিত এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই সৌদি যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করেন হাতিস চেঙ্গিজ।
গোপন ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের পর মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের মিত্র এই দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাইডেন প্রশাসন। তবে যুবরাজ সালমানের অনুমোদনে খাশোগিকে হত্যা করা হয় বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানানো হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি দেশটি। অবশ্য সৌদি আরব ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিজ্ঞাপন
টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় চেঙ্গিজ লিখেছেন, সৌদি যুবরাজকে শাস্তি দেওয়া না হলে অপরাধীদের এই বার্তা দেওয়া হবে যে, খুনের মূল অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারেন। এতে আমরা সবাই বিপদে পড়ব। এতে আমাদের মানবতায় রক্তের দাগ লাগবে।
তিনি বলেন, ‘নির্দোষ এবং নিরাপরাধ একজন মানুষকে নৃশংস ভাবে হত্যার অনুমোদন দেওয়ায় অনতিবিলম্বে সৌদি যুবরাজের শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।’ এছাড়া যুবরাজের শাস্তি নিশ্চিত করতে সবাইকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক ছিলেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে দেশটির এজেন্টদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। নিজের বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। ৫৯ বছর বয়সী এই সাংবাদিক ছিলেন সৌদি সরকারের বিভিন্ন নীতি ও রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক।
সূত্র: বিবিসি
টিএম