প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চীনে টানা তিন বছর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে সেগুলো শিথিল করা হয়।

কঠোরতা শিথিল করায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, অনেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন। আর এই আশঙ্কা থেকে বৃদ্ধ আত্মীয়দের সঙ্গে আপাতত দেখা না করতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির মহামারী প্রতিরোধ দল।

২০২২ সালের শেষ দিকে কঠোর লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামেন সাধারণ মানুষ। তাদের বিক্ষোভের জেরেই বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। কিন্তু এমন সময় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যখন হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ।

এই সংক্রমণ বৃ্দ্ধির মধ্যে এবার কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়া নতুন সৌর বছর উদযাপন করবে চীন। এ সময়টায় দেশটির সাধারণ মানুষ কর্মক্ষেত্র বা অস্থায়ী বাসস্থান থেকে গ্রাম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজেদের বাড়িতে যান। আর তাই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে করোনা দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে করে করোনায় সংক্রমিত হয়ে অনেকে মারা যেতে পারেন। আর এ বিষয়টি চিন্তা করেই বৃদ্ধদের সংস্পর্শে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।

চীনের মহামারী প্রতিরোধ দলের সদস্য প্রফেসর গু জিয়ানওয়েন বলেছেন, ‘বৃদ্ধ আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে যাবেন না, যদি না তারা আগে করোনায় আক্রান্ত না হয়ে থাকেন।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি সত্যিই আপনি সবদিক দিয়ে তাদের কথা ভাবেন, তাহলে তাদের বাড়িতে ভাইরাস নিয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’

চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, রাজধানী বেইজিংসহ বড় বড় শহরগুলোতে সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু এখন তাদের ভয় হলো প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো নিয়ে।

কারণ এসব স্থানে মহামারী সামাল দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই