ব্রিটেনে অক্সফোর্ডের টিকা অনুমোদনের আবেদন
ব্রিটেনে নিজেদের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশটির ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
স্থানীয় সময় বুধবার ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এমন তথ্য জানিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
বিজ্ঞাপন
এমএইচআরএ’র কাছে আবেদন করে এ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য দাখিল করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
ম্যাট হ্যানকক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি আপনাদের এই খবর জানাতে পেরে উচ্ছ্বসিত যে, যুক্তরাজ্যে টিকার ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ-কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) কাছে আবেদন করে এ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য দাখিল করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা।’
বিজ্ঞাপন
করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর ক্ষেত্রে এটা হলো আরও একটা বড় পদক্ষেপ
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক
আরও বেশি সংক্রামক করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরনের বিস্তার ঠেকাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়ার পর বুধবারের ওই সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক আরও বলেন, ‘করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর ক্ষেত্রে এটা হলো আরও একটা বড় পদক্ষেপ।’
প্রসঙ্গত, মার্কিন ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি বিশ্বে প্রথম ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল ব্রিটেন। এ মাসের শুরুতে ওই অনুমোদনের পর দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন পাঁচ লাখ মানুষকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়েছে যুক্তরাজ্যে।
চলতি মাসের শুরুতে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টিকা দেওয়া শুরুর পর ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন পাঁচ লাখ মানুষকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়েছে যুক্তরাজ্যে।
ব্রিটেনের যে পরিমাণ কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োজন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেলে তা মেটানো সম্ভব। কারণ দেশটি দশ কোটি টিকার ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, অনুমোদন পেলে ‘গেম চেঞ্জারের’ ভূমিকা রাখবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা। কারণ, ফাইজার-বায়োএনটেকের তুলনায় এই টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন ও প্রদান অনেক বেশি সহজ।
এএফপির ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্রিটেনের যে পরিমাণ কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োজন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেলে তা মেটানো সম্ভব। কারণ দেশটি দশ কোটি টিকার ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে।
এএস