দেশে সংক্রমণ বাড়ছে, টিকা নষ্ট করছে অনেক রাজ্য: মোদি
গত কয়েক সপ্তাহ থেকে ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে। কয়েকটি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের রুখতেই হবে।’
বুধবারের ওই বৈঠকে কিছু রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মোদি বলেন, ‘অনেক রাজ্যে কোভিড প্রতিষেধক নষ্ট হচ্ছে। প্রতিষেধক যাতে কোনোভাবেই নষ্ট না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে আমাদের। কেউ নষ্ট করলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্যগুলোকে।’
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি হালকা করে দেখলে চলবে না। যদি এখনই এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ থামানো না যায়, তাহলে ফের দেশজুড়ে মহামারির প্রকোপ শুরু হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। কিন্তু সেটা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়।’
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি বলেছেন, ‘আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করতে হবে আমাদের। অ্যান্টিজেন টেস্টের ওপর বেশি জোর দিলে হবে না। এখন বেশি করে করতে হবে আরটি-পিসিআর টেস্ট। আক্রান্তদের শনাক্ত করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।’
বিজ্ঞাপন
ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। ইতোমধ্যেই দেশটির সাড়ে ৩ কোটির বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। দেশে টিকাদান কর্মসূচির গতি অনেকটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মোদি। আগামী দিনে তা আরও বেশি হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী গ্রামীণ এলাকায় ও ছোট শহরগুলোতে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরও জোর দিতে বলেছেন মোদি। এই বিষয়ে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সতর্ক থাকার কথাও জানিয়েছেন।
তবে বুধবারের ওই বৈঠকে ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তিনি এখন ব্যস্ত। এছাড়া উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও ছিলেন না। যিনি আসামে বিজেপির নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও অনুপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
এএস/এমএমজে