ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তুরস্ক: এরদোয়ান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক চায় তুরস্ক এবং দুই পক্ষের গোয়েন্দা পর্যায়ের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। তবে একইসঙ্গে ইসরায়েলের ফিলিস্তিন নীতিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ অভিহিত করে এর সমালোচনাও করেছেন তিনি।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে বেশ কিছু ‘ইস্যু’ রয়েছে তুরস্কের। এসব ইস্যু না থাকলে সম্পর্ক আরও ভিন্ন রকম হতে পারতো।
বিজ্ঞাপন
ফিলিস্তিন নীতি হলো আমাদের রেড লাইন। ফলে ইসরায়েলের ফিলিস্তিন নীতি মেনে নেওয়া অসম্ভব। আর ফিলিস্তিনের ওপর তাদের নির্দয় আচরণও অগ্রণযোগ্য
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এও বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন নীতি হলো আমাদের রেড লাইন। ফলে ইসরায়েলের ফিলিস্তিন নীতি মেনে নেওয়া অসম্ভব। আর ফিলিস্তিনের ওপর তাদের নির্দয় আচরণও অগ্রণযোগ্য।’
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ১৯৪৯ সালে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। আর এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত দেশ দুটির মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাণিজ্যিক মিত্রতা ছিল বেশ দৃঢ়।’
২০১০ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর ২০১৬ সালে তা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১৮ সালে পরস্পরের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার করে দেশ দুটি।
তবে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের আরও ভূমি দখল এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সহিংস ও নির্দয় আচরণের জন্য বিগত কয়েক বছর ধরে তেল আবিবের ক্রমাগত নিন্দা জানিয়ে আসছে আঙ্কারা।
২০১০ এ ইসরায়েলের সেনারা ফিলিস্তিন সমর্থিত ১০ তুর্কি অধিকারকর্মীকে হত্যার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। ২০১৬ সালে তা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১৮ সালে পরস্পরের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার করে দেশ দুটি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মাঝে মধ্যেই একে অপরকে বিষেদাগার করে বক্তব্য দিলেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনও চলমান রয়েছে।
এএস