মধ্য-ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড হেগার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার এডুয়ার্ড বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, স্লোভাকিয়ার মন্ত্রীরা পদত্যাগ করায় এডুয়ার্ডের নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রিসভা দুর্বল হয়ে পড়ে। আগামী সেপ্টেম্বরে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তার আগে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এডুয়ার্ড।

রোববার আরও পরের দিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট জুজানা ক্যাপুতোভার সাথে এডুয়ার্ড হেগার দেখা করার কথা রয়েছে। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, নতুন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষমতা কেবল প্রেসিডেন্টের রয়েছে।

সেপ্টেম্বরের আগাম নির্বাচনের আগে পর্যন্ত মধ্য-ইউরোপীয় দেশটির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি টেকনোক্র্যাট প্রশাসনের পথ তৈরির দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। এ নিয়ে বিরোধীদের প্রচণ্ড চাপের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড হেগার।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টকে আমার কর্তৃত্ব অপসারণ এবং স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণভাবে স্লোভাকিয়াকে গণতান্ত্রিক সংসদীয় নির্বাচনে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য একটি টেকনোক্র্যাট সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছি।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির ক্ষমতাসীন জোট থেকে এসএএস পার্টি বেরিয়ে যায়। এর ফলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলে জোট সরকার।

পরবর্তীতে ওই দলটি দেশে জ্বালানি ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকার জনগণকে পর্যাপ্ত সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ করে। গত বছর ইউরোপে জ্বালানির দাম রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের মতো স্লোভাকিয়াতেও জ্বালানির উচ্চ ব্যয় এবং ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব প্রশমিত করার জন্য পরিবার ও বিভিন্ন কোম্পানিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলোর রাজনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে প্রতিবেশি ইউক্রেনের শক্তিশালী সমর্থক হিসেবে রয়েছে স্লোভাকিয়া।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস