ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) থেকে জাতিসংঘে কর্মরত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের বাঁচানোর কৌশল খুঁজে বের করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দাবি জানিয়েছে পাকিস্তান।  

জাতিসংঘে প্যানেলে দেওয়া বিবৃতিতে পাকিস্তান সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বলছে, সারা বিশ্বেই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। এরমধ্যে বিশেষভাবে আইইডির কথা উল্লেখ করেছে পাকিস্তান। 

এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইইডি ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিসাধনে সক্ষম। জাতিংঘে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্বকারী কূটনীতিক মোহাম্মদ আমির খান বলেন, এই আইইডির কারণে বাহিনীর গতিশীলতা ব্যাহত হয়, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় কাজ করে এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সরকারগুলোর প্রচেষ্টা বাা সদিচ্ছা নেই বলে ধারণা তৈরি হয়।   

আমির খান আরও বলছেন, ইকুইপমেন্টের আধুনিকায়নসহ তিনটি ক্ষেত্রে কাউন্টার-আইইডি স্ট্র্যাটেজিতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।  

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষায় বহুদিন ধরেই কাজ করছে পাকিস্তান। বর্তমানে তারা ৭টি মিশনে কাজ করছে। এরমধ্যে বড় একটি অংশ রয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে, সুদানের দারফুর অঞ্চলে আর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে। 

২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী পাকিস্তানের ৬ হাজার নারী ও পুরুষ জাতিসংঘের হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিরক্ষায় কাজ করছেন। 

প্যানেল ডিসকাশনে পাকিস্তান এ কথাও স্মরণ করিয়ে দেয় যে, বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের এই শান্তিরক্ষা মিশনই হলো সবচেয়ে সাশ্রয়ী পন্থা। 

পাকিস্তান আরও বলে, জাতিসংঘের জন্য যারা কাজ করছেন, তারা- জটিল নানা ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে, নাগরিকদের সুরক্ষায়, নিরস্ত্রীকরণে সহযোগিতা, শান্তি রক্ষা ও ক্ষমতার পালাবদলে নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে।  কিন্তু তাদের আইইডিসহ অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। 

সূত্র: দ্য ডন। 

এনএফ