রোববার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর জয়া বচ্চনকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। প্রথম দুইদফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাতে কলকাতায় পৌঁছেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিকে পরিণত হওয়া জয়া বচ্চন।

‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’-এর হয়ে প্রচার চালাতে রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান বাংলার আরেক তারকা মেয়ে জয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হয়ে সোমবার থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন তিনি।

রোববার সন্ধ্যায় জয়া বচ্চন পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে তাকে শঙ্খ ও উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, টানা ৩দিন দলটির প্রচারে অংশ নেবেন জয়া বচ্চন। সোমবার প্রচার কর্মসূচির শুরুতে প্রথমে যাবেন টালিগঞ্জে। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের সমর্থনে রোড শো করবেন জয়া বচ্চন। এছাড়া তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনও করবেন তিনি।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের চলমান বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব। সেই সমর্থনের কারণেই তৃণমূলের হয়ে প্রচারে অংশ নিতে কলকাতায় এসেছেন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী ও এমপি জয়া বচ্চন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জয়া বচ্চনকে নির্বাচনী প্রচারে এনে মেগা তারকা ক্যারিশমায় বিজেপিকে টক্কর দিতে চাইছে তৃণমূল। কারণ বিজেপিতে যোগ দিয়ে ইতোমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের হয়ে মাঠে-ময়দানে প্রচারে নেমেছেন মেগা তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। মহাগুরু হিসেবে খ্যাত এই তারকার কথা শুনতে সর্বত্রই উপছে পড়ছে ভিড়।

তৃণমূলের হয়ে চারটি বড় রোড শো করবেন জয়া বচ্চন। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রতিবছর চলচ্চিত্র উৎসবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন উপস্থিত থাকেন পশ্চিবঙ্গের জামাই অমিতাভ। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির মনোনয়নে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন জয়া বচ্চন।

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। এরপরেই জয়া বচ্চনের তৃণমূলকে সমর্থন করে রোড শো করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এর ফলে তৃতীয় দফা নির্বাচনের আগে মমতার দলের পক্ষে পাল্লা অনেকটাই ভারী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টিএম