করোনা মহামারিতে হোম ডেলিভারি সেবার চাহিদা বাড়তে থাকায় অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে সিঙ্গাপুর। হোম ডেলিভারি সেবার জন্য জোড়া রোবট উদ্ভাবন করেছে দেশটির একটি প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য প্রস্তুত কোম্পানি।

সোমবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘কামেলো’ নামের এই জোড়া রোবট বাজারে এনেছে ওটসাও ডিজিটাল নামের একটি ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি। কোম্পানিটির দাবি, সিঙ্গাপুরের আয়তন বিবেচনায় এক বছরে ৭০০ বাড়িতে হোম ডেলিভারি দিতে সক্ষম কামেলো।

কামেলো সম্পর্কে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওটসাও ডিজিটাল আরো জানিয়েছে, এই জোড়া রোবটে থ্রি ডি সেন্সর, ক্যামেরা ও পণ্য পরিবহনের জন্য দু’টি কম্পার্টমেন্ট রয়েছে। 

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য অতিবেগুনী রশ্মিও (আলট্রা ভায়োলেট রে) রয়েছে কামেলোর যান্ত্রিক দেহে। এক একটি ট্রিপ বা যাত্রায় ২০ কেজি পর্যন্ত পণ্য পরিবহনে সক্ষম কামেলো।

ওটসাও ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী মিং টিং লিং জানিয়েছেন, হোম ডেলিভারিতে রোবট সেবা যথাযথ পেতে হলে গ্রাহকদের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। নির্দিষ্ট দোকান বা প্রতিষ্ঠানে অর্ডারের পর সেই অ্যাপটিই জানিয়ে দেবে বাড়ির সামনে কামেলোর আগমনবার্তা।

রয়টার্সকে মিং টিং লিং বলেন, মহামারির কারণে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বিষয়ক বিধিনিষেধ চলায় প্রতিদিনই বাড়ছে হোম ডেলিভারি সেবার চাহিদা। এ ক্ষেত্রে মানুষের পাশাপাশি রোবটও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছেন তারা।

তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে এই মহামারি সময়, সবাই যখন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে, কিন্তু বেড়েই চলছে হোম ডেলিভারি সেবার চাহিদা — সেদিক থেকে বিবেচনা করলে কামেলোর উপযোগিতা অনেক।’

তাশফিক হায়দার নামে ২৫ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী সম্প্রতি এই সেবা গ্রহণ করেছেন। রয়টার্সকে তিনি বলেন, যারা বয়স্ক ও দোকান থেকে বাড়ি পর্যন্ত পণ্য পরিবহন যাদের জন্য কষ্টকর— তাদের জন্য বেশ উপযোগী রোবট।

তবে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন সিঙ্গাপুরের ৩৫ বছর বয়সী গৃহবধূ জুয়ে ইয়া জিন। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, বয়স্কদের তুলনায় তরুণরা এই সেবা বেশি পছন্দ করবে। কারণ প্রযুক্তিগত পণ্যের দিকে তরুণদের আগ্রহ বেশি থাকে।

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ