তাইওয়ান জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার তাদের আকাশ সীমায় প্রবেশ করে রেকর্ডসংখ্যক যুদ্ধবিমান নিয়ে মহড়া চালিয়েছে চীনের সামরিক বাহিনী। বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ খবর জানানো হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী গতকাল সোমবার চীনের ২৫টি যুদ্ধবিমান ও পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম বিমান কথিত ‘এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে’ (এডিআইজেড) অনুপ্রবেশ করে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

চলতি বছরে তাইওয়ানে চীনের এত বড় সামরিক অনুপ্রবেশের ঘটনা আর ঘটেনি। ‘চীনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক অবস্থান’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হুমকি আসার পরই তাইওয়ানের সীমানায় এই সামরিক শক্তি প্রদর্শন করল বেইজিং।

তাইওয়ানকে চীন এখনো তাদের বিচ্ছিন্ন একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু গণতান্ত্রিক তাইওয়ান নিজেদেরকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করে।  বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো নয়। ওয়াশিংটন তাদের বড় মিত্র। 

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের সর্বশেষ এই সামরিক অনুপ্রবেশমূলক অভিযানে ১৮টি যুদ্ধবিমান, পরমাণু অস্ত্র বহনকারী চারটি, সাবমেরিন বিধ্বংসী ২টি এবং সতর্কবার্তা দেওয়ার জন্য নিয়োজিত একটি যুদ্ধবিমান ছিল।

তাইওয়ান আরও জানিয়েছে, চীনের দুই ডজনের বেশি সামরিক বিমানকে সতর্ক করতে তারাও তাদের যুদ্ধবিমান প্রেরণ করে। এছাড়া চীনের এই বিশাল সামরিক অভিযান পর্যবেক্ষণের জন্য ওইদিন ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করেছিল তারা।  

কয়েক মাস ধরে তাইওয়ানের দক্ষিণের ও তাইপে নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ চীন সাগরের প্রাতাস দ্বীপপূঞ্জে চীন নিয়মিত যুদ্ধবিমানের মহড়া চালিয়ে আসছে। গতকাল সোমবারও চীন ওই দ্বীপপূঞ্জের কাছাকাছি তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে মহড়া চালায়।  

তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে চীনের সর্বশেষ এই সামরিক শক্তি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের তাইওয়ানের প্রতি চীনের ‘ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী পদক্ষেপ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশের একদিন পরই।

এএস/জেএস