মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাতভর ও শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন এলাকায় এই সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর অন্তত ৮ সদস্য নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে কেআইএ।

সংঘর্ষের পর জাতিগত সশস্ত্র কাচিন বিদ্রোহী অধ্যুষিত ওই এলাকায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইরাবতি বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যের পুং ইং-ওই শি এলাকার কাছে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি। 

কেআইএর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পুং ইং-ওই শি এলাকার সুম্প্রাবুম-মিটকিয়ানা মহাসড়কে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ৩০ সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সৈন্য নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এই সংঘাতে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির কোনো সদস্য হতাহত হয়েছেন কি না তা জানাতে রাজি হননি ওই কর্মকর্তা।

শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হপকান্ত শহরে নিরাপত্তা তল্লাশির সময়ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর দাবি করেছে কেআইএ। স্থানীয় এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী বলছে, সেনাবাহিনীর গাড়িবহরের বিরুদ্ধে তারা স্থল মাইন ব্যবহার করেছে। এতে সামরিক একটি ট্রাক বিস্ফোরিত হয়ে উড়ে যায়। এ ঘটনায় তিন সৈন্যের প্রাণহানি ঘটেছে।

শনিবার সকালের দিকে কাচিন শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওয়াইমা শহরে সেনা, পুলিশ এবং অভিবাসন কর্মকর্তাদের যৌথ অভিযানের সময় কেআইএ’র সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কেআইএ বলছে, সংঘর্ষের সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের কাচিন, শান-সহ বেশ কিছু রাজ্য আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরোধিতা ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

এসএস