নতুন রোগী শনাক্তের পাশাপাশি সমানতালে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও

বিশ্বব্যাপী চলছে কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর পরিমাণ।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৩৪ লাখ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৫৩১ জনে।

বিগত কয়েক মাস ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। দৈনিক হিসেবে সেখানে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার এক দিনে মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থান উঠে এসেছে মেক্সিকো। এক দিনে সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ১ হাজার ৫২ জন। আর যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে ৩ হাজার ৪৩৮ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে, এক দিনে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার মানুষের, আর দেশটির মোট শনাক্ত ২ কোটি ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৪ হাজার ২১৫ জন। অন্যদিকে মেক্সিকোতে এক দিনে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৪০৫ জন, দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখেরও বেশি।

পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।

প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ২ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৮ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী প্রায় ৭৬ লাখ ৭৬ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪৯ জনের।

রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তালিকার পরবর্তী কয়েকটি দেশ হলো- রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক।

মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮০৭ জন। তাছাড়া ইতালিতে ৭৪ হাজার ১৫৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৭৩ হাজার ৬২২ জন, ফ্রান্সে ৬৪ হাজার ৭৫৯ জন ও ইরানে ৫৬ হাজার ২৭১ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সদ্য সমাপ্ত ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে। পরে ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

টিএম