কলোরাডো, ক্যালিফোর্নিয়া ও ফ্লোরিডায় করোনার নতুন ধরন শনাক্ত আর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানোর আহ্বানের মধ্যেই মহামারিতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত দুই কোটি ছাড়িয়েছে।

বিগত বছরের শেষ মাস অর্থাৎ শুধু গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৮ হাজার কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মহামারি এই রোগের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন এমন প্রতি ৯৫০ জনের মধ্যে একজন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।     

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণহানি দুই কোটি ছাড়ানোর খবর দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন এমন প্রতি ৯৫০ জনের মধ্যে একজন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।     

দেশটির সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ; ২২ লাখ ৮০ হাজার।

গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সংক্রমণের হার বেড়েছে। রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ৫০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে সময় লেগেছিল ২০০ দিন। এরপর ৫০ লাখ থেকে এক কোটিতে গিয়ে ঠেকতে ৯৩ দিন, এক কোটি থেকে দেড় কোটিতে পৌঁছাতে ৩১ দিন এবং দেড় কোটি থেকে দুই কোটি পৌঁছালো মাত্র ২৫ দিনে।  

দেশটির সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ; ২২ লাখ ৮০ হাজার। এরপর যথাক্রমে টেক্সাসে ১৭ লাখ ৬০ হাজার এবং ফ্লোরিডায় ১৩ লাখ ২০ হাজার আক্রান্ত। 

দেশটিতে গড়ে প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার বাসিন্দা। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অবশ্য দৈনিক আক্রান্তের এই গড় ছিল ২ লাখ ১৮ হাজার। আগামীতে সংক্রমণ বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। 

সরকারের লক্ষ্য ছিল ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেবে কিন্তু বছর শেষে দেখা গেছে মাত্র ২৮ লাখ আমেরিকান টিকা নিয়েছেন।  

মহামারি করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন; যা এর আগের মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।  

দ্রুত মহামারির কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার আশায় মার্কিন সরকার দুটি কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দেয়। তবে যে গতিতে টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকার কথা তা হচ্ছে না। 

সরকারের লক্ষ্য ছিল ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেবে কিন্তু বছর শেষে দেখা গেছে মাত্র ২৮ লাখ আমেরিকান টিকা নিয়েছেন।  

এএস