দল বদলে বিজেপিতে যাওয়া অধিকাংশের হার
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়াদের মধ্যে তিন-চারজন ছাড়া অধিকাংশ প্রার্থীই মমতা বন্দোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে হেরে গেছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় বসছে তৃণমূল।
ব্যতিক্রমী শুধু শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, মিহির গোস্বামী। তবে তাদের বাদ দিলে দলবদল করে বিজেপিতে যাওয়া প্রায় শতাধিক প্রার্থী হেরেছে। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে এবার তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ভারতের কেন্দ্র সরকারে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।
বিজ্ঞাপন
তৃণমূলবিরোধী ‘হাওয়া’ কাজে লাগিয়ে বিজেপি দলে প্রচুর তৃণমূল নেতাদের নিয়েছিল গত দুই-তিন বছরে। তবে এই দল বদল করা নেতাদের অধিকাংশরাই জিতে ফিরতে পারেননি। মমতার কাছ থেকে ‘গদ্দার’ ট্যাগ পাওয়া প্রায় সকলেই হেরেছেন নির্বাচনে।
বৈশালী ডালমিয়া, শিববুরের রথিন চক্রবর্তী, পাণডবেশ্বরের জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শিলভদ্র দত্ত বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রথম সারির নেতারা হেরে গেছেন। তবে নন্দীগ্রামে নানা নাটকীয়তার পর অবশ্য মমতাকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিজ্ঞাপন
শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া জিতেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি ও দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের সাবে রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। দক্ষিণ কৃষ্ণনগর আসন থেকে টলিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন তিনি।
মুকুল রায় জিতলেও হেরেছে তার ছেলে শুভ্রাংশু রায়। এদিকে সিঙ্গুর আসনে তৃণমূলের বেচারাম মান্নার কাছে হেরেছেন ‘মাস্টারমশাই’ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। কালনা আসনে হেরেছেন বিশ্বজিত কুণ্ডু। বিজেপিতে যাওয়া অভিনেতা রুদ্রনীলও হেরেছেন ভবানীপুর আসনে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এটা সত্যি যে আমরা এই ফলাফল আশা করিনি। আমাদের দেখতে হবে যে কোথায় ভুল হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৭ থেকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মোট ১৪০ জনকে এবার টিকিট দিয়েছিল গেরুয়া শিবির।
এএস