ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মঙ্গলবার (১১ মে) দেশটির সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় তারা নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হামাসের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তার নাম হাসান কাউগি। তিনি হামাসের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন।

নিহত অপরজনের নাম ওয়ালি ইসা। তিনি হাসান কাউগির ডেপুটি এবং একইসঙ্গে হামাসের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন।

এদিকে হামাসের শীর্ষ দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। টুইটে আইডিএফ বলছে, ‘মনে হচ্ছে (হামাসের তুলনায়) আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম বেশ ভালো।’

অন্যদিকে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, হামাসের শীর্ষ দুই কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রকেট হামলার জবাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। বুধবার (১২ মে) সকালেও গাজার বেশ কয়েকটি স্থাপনায় বোমা হামলা করে দেশটির সেনারা। এতে করে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। নিহতদের মধ্যে অন্তসত্ত্বা নারী ও শিশুরাও রয়েছে।

আলজাজিরা বলছে, গত কয়েক দিনে জেরুজালেম ও অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় তেল আল-হাওয়া এলাকায় নিজেদের বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় চার মাসের অন্তসত্ত্বা এক নারী ও তার পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তান নিহত হয়েছেন।

এছাড়া তেল আল-হাওয়া এলাকারই একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বোমা হামলার পর ভবন ধসে তিন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

যদিও ইসরায়েলের দাবি, কেবল হামাসের ক্যাম্প দেখেই আক্রমণ চালানো হচ্ছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, গাজায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

টিএম