বোমা বিস্ফোরণে হত্যাচেষ্টার মুখ থেকে বেঁচে ফেরা মালদ্বীপের স্পিকার ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ উন্নত চিকিৎসা নিতে জার্মানিতে গেছেন। বৃহস্পতিবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসি।  

গত ৬ মে বাড়ির বাইরে বোমা হামলায় আহত হওয়ার পর সংকটাপন্ন অবস্থায় মোহাম্মদ নাশিদকে রাজধানী মালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েক দফায় অস্ত্রোপচার ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকার পর চেতনা ফেরে তার।   

হাসপাতালে ভর্তির পর ১৬ ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট, ফুসফুস ও যকৃত থেকে বোমার ধাতব অংশগুলো বের করা হয়। এরপর থেকে আইসিউতে ছিলেন তিনি। পরে চেতনা ফিরলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। 

স্পিকার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদকে হত্যার জন্য বোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। যারা হামলা করেছেন তারা চরমপন্থী ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত বলে জানায় পুলিশ।

হামলার পর নাশিদের বাড়ির সামনে পুলিশ।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান ও তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোহাম্মদ নাশিদকে হত্যায় বোমা হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তদন্ত অভিযানে মালদ্বীপ পুলিশকে সাহায্য করছে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ।  

নাশিদের গাড়ির পাশে একটি মোটরসাইকেলে রাখা বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে ওই হামলায় এক ব্রিটিশ নাগরিক ছাড়াও আরও দুই জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবারের ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। 

বিলাসবহুল পর্যটনের জন্য দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ সুপরিচিত। কিন্তু দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ইসলামপন্থী জঙ্গিদের সহিংসতা সব সময় চলেছে। সর্বশেষ নাশিদকে হত্যাচেষ্টাও তারই অংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   

২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার ৪ বছর পর এক অভ্যুত্থানে নাশিদকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তারপরও তিনি এখন দেশটির পার্লামেন্টের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর পদটিতে রয়েছেন। তিনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ইসলামি চরমপন্থার সমালোচক। 

এএস