নাইজারে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০
নাইজারের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার দুটি গ্রামে শনিবারের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির দু’টি গ্রামে সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ হামলার পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
সশস্ত্র জঙ্গিদের ব্যাপক তৎপরতা থাকা তিল্লাবেরি অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিক হত্যাযজ্ঞের ক্ষেত্রে এটি সর্বশেষ ঘটনা। রোববার (৩ জানুয়ারি) স্থানীয় মেয়র একথা জানান।
বিজ্ঞাপন
নাইজারের ওই অঞ্চলে বসবাসরত তন্দিকিবিন্দি জনগোষ্ঠীর মেয়র আলমোউ হাসানি বলেন,‘প্রায় ১শ’ মোটরসাইকেলে করে আসা ‘সন্ত্রাসীরা’ শনিবার তচোমবাঙ্গোউ ও জারোমদারেয়ি গ্রামে ব্যাপক হামলা চালায়।’
তিনি এএফপি’কে বলেন, ‘হামলায় তচোমবাঙ্গোউ গ্রামে ৭০ জন ও জারোমদারেয়ি গ্রামে ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সন্ত্রাসীদের হামলার সময় পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তচোমবাঙ্গোউ গ্রামের বাসিন্দা জাহাফর কৌদিজে। তিনি বলেন,‘তারা (সন্ত্রাসীরা) সবার ওপরেই গুলি চালিয়েছিল।’
মালি ও বুরকিনা ফাসোর সীমান্তবর্তী দেশ নাইজারের সাধারণ মানুষ প্রায়ই আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) সম্পৃক্ত সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হচ্ছে। সংঘাতের কারণে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশটিতে ব্যাপক নিরাপত্তা সংকট রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা মিত্ররা ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। হামলরা দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।
উল্লেখ্য, তচোমবাঙ্গোউ ও জারোমদারেয়ি গ্রাম দুটি দেশটির তিল্লাবেরি অঞ্চলে অবস্থিত। ২০১৭ সাল থেকে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। তাছাড়া সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হামলার ঘটনা সমগ্র নাইজারজুড়েই খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার।
এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে নাইজারের দিফা এলাকায় হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২৭ জনকে হত্যা করে দেশটির সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম।
টিএম