ভারতের হামলার হুমকি, সর্বোচ্চ সতর্কতায় পাক সেনাবাহিনী
চিরবৈরী প্রতিবেশি পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে ভারত আবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর হুমকি দেয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাক সেনাবাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের তথ্য জানিয়েছে ডন।
পাক সেনা সূত্রগুলো বলছে, লাদাখ এবং ডোকলামে চরম পরাজয়ের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এবং কাশ্মীরের পুলওয়ামা সীমান্তের পাকিস্তানি ভূখণ্ডে আরও একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত; যা এই অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকায় গুলিবর্ষণ করায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্তত দুই সদস্য নিহত ও এক বেসামরিক নারী আহত হয়েছেন।
পাক আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক টুইট বার্তায় ভারতের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের যথাযথ জবাব পাকিস্তান সেনাবাহিনী দিয়েছে বলে জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ইসলামাবাদ বলছে, চলমান কৃষক আন্দোলন, সংখ্যালঘু নিপীড়ন এবং অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সঙ্কট থেকে বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে ভারত মিথ্যা অভিযোগে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে ভারত যেকোনও সময় পুলওয়ামার মতো নাটকের পুনরাবৃত্তি করতে পারে। এ জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং ওয়ার্কিং বাউন্ডারিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পায়তারা করছে নয়াদিল্লি।
২০১৬ সালে পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনা করে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। সীমান্তের আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনার দাবি করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী একই ধরনের একটি অভিযান পরিচালনার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। ওই সময় পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর গোলায় ভারতীয় দু’টি বিমান ভূপাতিত ও এক পাইলটকে আটক করে পাক সৈন্যরা।
পাক-ভারতের অশান্ত সীমান্তে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অন্তত ৯ হাজার ২১৫ বার অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন; সীমান্তের সামরিক এই সংঘাতে দুই দেশের এক হাজার ৪০৩ জনের প্রাণহানি ঘটে।
সূত্র : ডন।
এসআইএস