কাতারে আবারও ‘শান্তি আলোচনায়’ তালেবান-আফগান সরকার
কাতারের রাজধানী দোহায় তিন সপ্তাহের বিরতির পর আবারও শুরু হচ্ছে তালেবান ও আফগানিস্তানের সরকারের মধ্যে ‘শান্তি আলোচনা’৷ বুধবার (৬ জানুয়ারি) থেকেই মূলত এই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে আলোচনায় অংশ নিতে আফগান সরকারের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দোহায় পৌঁছায় বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
বিজ্ঞাপন
এবারের বৈঠকে দুই দশক ধরে চলমান আফগান যুদ্ধের অবসানের বিষয়ে আলোচনা শুরু হবার কথা রয়েছে। আফগান সরকার ও তালেবানের প্রতিনিধিরা এ আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন।
এর আগে প্রায় তিন মাসের আলোচনার পর মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তালেবানের চুক্তি হয়।
বিজ্ঞাপন
এবারের আলোচনায় নতুন আফগান সরকারেরের কাঠামো কী হবে, তা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দরকষাকষি হবে। আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে ক্ষমতা ভাগাভাগি ও যুদ্ধবিরতি। মার্কিন সমর্থিত কাবুলের বর্তমান সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি তালেবান।
এদিকে শান্তি আলোচনার বিষয়ে আফগান সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য নাদের নাদেরি টুইটারে বলেন, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তি হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সকল আফগান নাগরিকের মতামতের ভিত্তিতে। এটা স্পষ্ট যে, যুদ্ধবিরতিই হচ্ছে আফগান জনগণের অগ্রাধিকার এবং অবশ্যই আলোচনায় এটিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
অবশ্য আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শান্তি আলোচনার এজেন্ডায় তালেবান এবং সরকারের প্রতিনিধিরা অনেকগুলো প্রস্তাব জমা দিয়েছে। কিন্তু কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি।
টুইটারে দেওয়া বার্তায় আফগান বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ বলেছেন, এই আলোচনার মধ্যমে উভয়পক্ষ ‘‘সত্যিকারের সমঝোতায়’’ পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
নাইন-ইলেভেনের হামলার পর তালেবান সরকারকে উৎখাত করতে আফগানিস্তানে হামলা করে মার্কিন সেনারা। তবে সেসময় তালেবান গোষ্ঠীকে ক্ষমতা থেকে সরানো গেলেও পুরোপুরি নির্মূল করতে পারেনি আমেরিকা। আর তাই প্রায় ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।
টিএম