পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুই যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ জনে। সোমবার (৭ জুন) ভোরে দেশটির সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার ধারকি শহরের কাছে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন’কে সোমবার রাতে ঘোটকি জেলার এসএসপি ওমর তোফায়েল জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে উদ্ধার কাজ চললেও রাতে একসঙ্গে আরও ১১টি মৃতদেহ উদ্ধারের পর মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১ জনে।

মৃতদের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হওয়া ৩৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। কারণ ট্রেনের ভেতরে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আমরা এখনও খুঁজে পাইনি।’

পাকিস্তান রেলওয়ের (পিআর) মুখপাত্রের বরাত দিয়ে দ্য ডন জানিয়েছে, সোমবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেসময় করাচি থেকে সারগোদা নামক গন্তব্যে যাওয়ার সময় মিল্লাত এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে পার্শ্ববর্তী লাইনে উঠে যায়।

পাশের ওই লাইনে এসময় রাওয়ালপিন্ডি থেকে ছেড়ে আসা স্যার সাইয়েদ এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে মিল্লাত এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। ধারকি শহরের কাছে রাইতি রেলওয়ে স্টেশনের একটু আগে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘোটকি, ধারকি, ওবারো ও মিরপুর মাথেলো এলাকার হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় এবং চিকিৎসক ও প্যারা-মেডিকেল স্টাফদের সবাইকে হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সূত্র: দ্য ডন

টিএম