বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণার পর প্রথম দর্শনে মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসকে হোয়াইট হাউসে যেতে দেখা গেছে। সঙ্গী হয়েছিলেন তার দাতব্য ও বিনিয়োগ সংস্থার নেতারা। তিনি বাইডেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈতনিক ছুটি ও চাইল্ড কেয়ার নিয়ে কথা বলেছেন।

ওইদিন বিল গেটসকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা গেছে। পরিচিত সোয়েটার, কলারওয়ালা শার্ট ও চোখে চশমায় দেখা গেছে তাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে ১১ মিনিট কথা বলেছেন। 

গত মে মাসে ধনকুবের এই জুটি তাদের ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসানের ঘোষণা দেন। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে তাদের বিপুল সম্পত্তির ভাগাভাগি কীভাবে হবে এবং তাদের প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থাটি কীভাবে পরিচালিত হবে।

উভয়ই জানিয়েছেন তারা ৫০ বিলিয়নের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। যার মাধ্যমে তারা তাদের অর্থের বেশিরভাগ ব্যয় করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফলে বিচ্ছেদ হলেও তাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে হয়তো।  

কিন্ত বিচ্ছেদের আগে থেকেই তারা নিজ নিজ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। নিজেদের মতো করে বিনিয়োগ করেছেন। ফলে ধারণা করা হচ্ছে যে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের বিষয়টির সমাধান হলে তারাও আরও বেশি বিভাজিত হয়ে যাবেন। 

মেলিন্ডা গেটসের (৫৬) বিচ্ছেদ মানে তিনি আরও বেশি দাতব্য কাজে নিজেকে যুক্ত করতে যাচ্ছেন। তার ৯০ জন কর্মীর এক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রয়েছে একটি বিনিয়োগ সংস্থাও। এসবের মাধ্যমে মূলত তিনি লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণের ওপর কাজ করবেন।  

বিচ্ছেদের পর মেলিন্ডা ৩০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের শেয়ারের ভাগ পেয়েছেন। কিন্তু বিচ্ছেদের সময় এ দম্পতির ১৪৫ বিলিয়ন ডলারের বিপুল সম্পদের তুলনায় তা খুব সামান্য। আগামীতে এসব সম্পদের ভাগাভাগির বিষয়টি সামনে আসবে।

এএস