এমিলিও ফ্লোরেস মারকুয়েজকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মানুষের স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মানুষের স্বীকৃতি পেলেন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ক্যারিবীয় দ্বীপ পুয়ের্তো রিকোর বাসিন্দা এমিলিও ফ্লোরেস মারকুয়েজ। বুধবার ১১২ বছর ৩২৬ দিন বয়সী এমিলিওকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।

পুয়ের্তো রিকার রাজধানী স্যান জুয়ানের পূর্বাঞ্চলের ক্যারোলিনায় ১৯০৮ সালে জন্ম নেওয়া এমিলিওকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। জন্মস্থান থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে নিজ বাড়িতে এমিলিওকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের একটি সনদপত্র দিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

বন্ধুমহলে ‘ডন মিলো’ নামে পরিচিত এমিলিওর কাছে দীর্ঘায়ু সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন এবং সবাইকে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন। তিনি আমাকে, আমার ভাই এবং বোনদের সবসময় ভালো কাজ করতে বলতেন। সবকিছুই অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে বলতেন। এছাড়া যিশুখ্রিস্ট আমার মাঝেই থাকেন।’

১১ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং তার বাবা-মায়ের প্রথম ছেলে সন্তান এমিলিও পারিবারিক আখের খামারে কাজ করতেন। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা মাত্র তিন বছরের— এই সময়টুকুই স্কুলে গিয়েছিলেন তিনি।

তার ৭৫ বছর বয়সী স্ত্রী আন্দ্রিয়া প্রেজ ডি ফ্লোরেস ২০১০ সালে মারা গেছেন। তাদের সংসারে আছে চার সন্তান।

এর আগে, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ বিশ্বের জীবিত সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের স্বীকৃতি দিয়েছিল রোমানিয়ার ডুমিত্রু কমনেস্কুকে; যিনি ১১১ বছর ২১৯ দিন বয়সে ২০২০ সালের ২৭ জুন চিরবিদায় নেন।

পুয়ের্তো রিকার রাজধানী স্যান জুয়ানের পূর্বাঞ্চলের ক্যারোলিনায় ১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন এমিলিও ফ্লোরেস মারকুয়েজ

কমনেস্কুর মৃত্যুর পর বিশ্বের রেকর্ড ভাঙা এই কর্তৃপক্ষ এমিলিওর জন্মের সনদপত্র সংগ্রহ করে। এতে দেখা যায়, আগের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের খেতাব পাওয়া কমনেস্কুর জন্মের তিন মাস আগে জন্মেছিলেন এমিলিও।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এডিটর ইন চিফ ক্রেইগ গ্লেনডে বলেছেন, এমন উল্লেখযোগ্য মানুষের রেকর্ড উদযাপন করাটা সবসময়ই সম্মানের। চলতি বছর আমরা বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণতম জীবিত মানুষের সন্ধানে দু’জন প্রতিযোগীর কাছ থেকে আবেদন পেয়েছিলাম।

সূত্র: এএফপি।

এসএস