• উইলিয়াম বার্নস যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অভিজ্ঞ কূটনীতিক
• কাজ করেছেন পাঁচজন প্রেসিডেন্ট ও ১০ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে
• ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির ঘোর বিরোধী
• ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রকে রাখার পক্ষে
• কাজ করেছেন মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানেও

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান হিসেবে উইলিয়াম বার্নসের নাম ঘোষণা করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উইলিয়াম বার্নস যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অভিজ্ঞ কূটনীতিক।

আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেন শপথ গ্রহণ করার বার্নস সিআইএ’র পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ছয় পরাশক্তির যে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছিল তাতে আমেরিকার পক্ষে আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বার্নস।

এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন সংকট সমাধানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

আমেরিকার রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের পাঁচজন প্রেসিডেন্ট ও ১০ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি নির্ধারণকারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন উইলিয়াম বার্নস। রাশিয়া ও জর্ডানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির ঘোর বিরোধী ছিলেন উইলিয়াম বার্নস। তিনি বহুবার ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন।

এছাড়া গত বছরের শুরুতে ইরানের সামরিক কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার তীব্র নিন্দাও জানিয়েছিলেন তিনি।

সিআইএ’র প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন উইলিয়াম বার্নস। এবার মার্কিন সিনেট বার্নসের নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন করলে তিনি জিনা হ্যাস্পেলের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে সিআইএ’র প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন হ্যাস্পেল।

টিএম