• যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্প সমর্থকদের সশস্ত্র আন্দোলনের আশঙ্কা
• ওয়াশিংটন ডিসিসহ ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই এই সশস্ত্র আন্দোলন হতে পারে
• ক্যাপিটল ভবনে শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
• গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিশেষ অভিযানের নির্দেশনা
• ভীত নই, জানিয়েছেন বাইডেন

আর মাত্র ৮দিন পরই শপথ গ্রহণ করবেন নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরাজয় তো আগেই স্বীকার করে নিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে- প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে অস্থিতিশীল হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি হয়তো স্বাভাবিক হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা পুরোপুরি সেরকম নয়।

জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে থেকেই ট্রাম্প সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সশস্ত্র আন্দোলন করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই এই সশস্ত্র আন্দোলন হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে আগাম ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তারা সতর্ক করেছে বলেও জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

এরপরই বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এফবিআই জানিয়েছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে এই সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হতে পারে এবং সেটা আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এক প্রতিবেদনও পাঠিয়েছে এফবিআই।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটল ভবনের সামনে এবং ১৭ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনের সামনে সশস্ত্র আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

মূলত গত সপ্তাহের হামলার ঘটনার পর বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করেই এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।

এদিকে সোমবার (১১ জানুয়ারি) নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনের বাইরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শপথ নিতে তিনি মোটেও ভীত নন।

আশা করা হচ্ছে আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেনের সঙ্গে কমলা হ্যারিসও ক্যাপিটল ভবনের বাইরেই শপথ নেবেন।

এদিকে ক্যাপিটল ভবনের বাইরে জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে নেওয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সোমবার ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি’র প্রধান চাড ওলফ জানিয়েছেন, শপথ অনুষ্ঠানের আগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিশেষ অভিযান শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, অনুষ্ঠানটির নিরাপত্তায় এবং ৬ জানুয়ারি ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ১৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ডের সেনা মোতায়েন করা হবে। এসব জোরালো নিরাপত্তা পদক্ষেপের মধ্যেই সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করলো এফবিআই।

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদনের দিনে ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে তাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারায় ৫ জন। ট্রাম্পের উসকানিতেই এই হামলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ঘটনার পর ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ডেমোক্র্যাটরা।

টিএম