জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত কেলি ক্রাফট

নতুন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণের আগে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে তাইওয়ানে শীর্ষ মার্কিন দূত কেলি ক্রাফটের সফর বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কেলি ক্রাফট জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) তিন দিনের সফরে তার তাইপে পৌঁছানোর কথা ছিল।

এর আগে চীনকে পাশকাটিয়ে তাইওয়ানে মার্কিন দূতের সফরের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বেইজিং। চীন এই সফরকে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র সাথে তুলনা করে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেয়।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার আগ মুহূর্তে মার্কিন দূতের এই সফর নিয়ে চীনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার কারণে সিদ্ধান্ত বদল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তাইওয়ান স্বশাসিত অঞ্চল হলেও এটাকে নিজেদের একটি প্রদেশ বলে দাবি করে থাকে চীন। বেইজিংয়ের আপত্তির কারণেই অঞ্চলটির সঙ্গে বিগত কয়েক দশক ধরেই যুক্তরাষ্ট্র সীমিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে।

তবে ২০১৭ সালে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাইপের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় ওয়াশিংটন। এতে চীন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেও খুশি ছিল তাইওয়ান।

এদিকে মার্কিন দূতের সফর বাতিল হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে তাইওয়ান। কিন্তু একইসঙ্গে ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তকে সম্মান করার কথাও জানিয়েছে তাইপে।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ ক্রমাগত বেড়েছে। বিশ্বের এই দুই পরাশক্তির সম্পর্কের অবনতির পেছনে বড় ইস্যু ছিল তাইওয়ান। চীনের কঠোর বিরোধিতা উপেক্ষা করে অঞ্চলটির কাছে অস্ত্র বিক্রির পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের সফরে পাঠিয়েছেন ট্রাম্প।

সম্প্রতি তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এরপরই গত সপ্তাহে পম্পেও মার্কিন দূত কেলি ক্রাফটকে তাইওয়ান সফরে পাঠানোর ঘোষণা দেন। তবে চীনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার কারণে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে সফর বাতিল করে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার মাইক পম্পেও বলেন, নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কারণে চলতি সপ্তাহের সকল সফর বাতিল করা হয়েছে। এমনকি পম্পেওর ইউরোপ সফরও বাতিল করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন এই শীর্ষ কূটনীতিকের ইউরোপ সফরে যাওয়ার কথা ছিল।

আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন জো বাইডেন।

সূত্র: বিবিসি

টিএম