এবার ট্রাম্পের চ্যানেল বন্ধ করল ইউটিউব
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চ্যানেল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইউটিউব। আপাতত সাত দিনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। তবে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।
সংস্থার নিয়মানুযায়ী ‘স্ট্রাইক’ পাওয়ার পর ট্রাম্পের চ্যানেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জানিয়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে ইউটিউব জানায়, সম্প্রতি ট্রাম্পের একটি ভিডিও সহিংসতা সৃষ্টিতে প্ররোচনা দেয়। এরপরই সেই ভিডিওটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।
ইউটিউব অবশ্য উত্তেজনা সৃষ্টিকারী সেই ভিডিওর বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এক সপ্তাহ পর ট্রাম্পের চ্যানেলর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসার কথাও জানায় সংস্থাটি।
বিজ্ঞাপন
এখন পর্যন্ত ইউটিউবই ছিল বড় কোনো সামিাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেটা তাদের প্লাটফর্ম থেকে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করেনি। অবশেষে এখানেও নিষিদ্ধ হলেন ট্রাম্প।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী এই প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য বন্ধ করে দেয় ফেসবুক। আর টুইটারে ট্রাম্প নিষিদ্ধ হয়েছেন স্থায়ীভাবে।
এদিকে এক বিবৃতিতে ইউটিউবের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন,‘বেশ সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনার পর ট্রাম্পের সর্বশেষ একটি ভিডিওতে মানুষকে সহিংসতায় উসকানির দেওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়। এরপরই আমরা ভিডিওটি সরিয়ে নেই এবং নীতি ভাঙার দায়ে তার চ্যানেলের বিরুদ্ধে ‘স্ট্রাইক’ ইস্যু করি।’
তিনি আরও বলেন,‘স্ট্রাইক পাওয়া চ্যানেলের বিষয়ে ইউটিউব দীর্ঘদিন ধরে একটি নিয়ম অনুসরণ করে আসছে। আর তা হচ্ছে- অভিযুক্ত চ্যানেলে আগামী সাত দিন নতুন করে কোনো ভিডিও আপলোড বা সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। তবে ট্রাম্পের চ্যানেলে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়তে পারে।’
ইউটিউবের নীতি অনুযায়ী, প্রথমবার স্ট্রাইক পাওয়া চ্যানেলকে সাতদিনের জন্য, দ্বিতীয় দফায় স্ট্রাইক পাওয়া চ্যানেলকে দুই সপ্তাহের জন্য এবং তৃতীয় দফায় স্ট্রাইক পাওয়া চ্যানেলকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সূত্র: সিএনএন
টিএম