কাবুলে দূতাবাস খালি করছে না রাশিয়া
কাবুলে রাশিয়ার দূতাবাস ভবন
কট্টর সুন্নি ইসলামপন্থি তালেবানগোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের চারপাশের এলাকায় অবস্থান নেওয়ার জেরে বিভিন্ন দেশ তাদের দূতাবাস খালি করে কর্মীদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করলেও রাশিয়া আপাতত সে পথে হাঁটছে না।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আরআইএ নোভোস্তি এজেন্সিকে এ তথ্য জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তা জামির কাবুলভ।
বিজ্ঞাপন
রোববার আরআইএ নোভোস্তিকে কাবুলভ বলেন, ‘আফগানিস্তানের রাশিয়ার দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। সেখানকার পরিস্থিতির প্রতিমুহূর্তের খবর আমরা রাখছি।’
‘তালেবান নেতারা ইতোমধ্যে আমাদের নিশ্চিত করেছেন, রাশিয়ার দূতাবাসে কোনো প্রকার হামলার শঙ্কা নেই। এ কারণে আফগানিস্তানে রাশিয়ার দূতাবাস খালি করা বা কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা আপাতত আমাদের নেই।’
বিজ্ঞাপন
চলতি বছর এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার এক মাস পরে, মে থেকে আফগানিস্তান দখল অভিযান শুরু করে তালেবানগোষ্ঠী।
ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের ৩৪ টি প্রদেশের মধ্যে ২৮টি তালেবান দখলে চলে গেছে। রোববার সকালের দিকে রাজধানী কাবুলের আশপাশের এলাকাসমূহও চলে গেছে তালেবান সদস্যদের কব্জায়। বর্তমানে কাবুল ও তার আশপাশের এলাকায় টহল দিচ্ছে তালেবান সদস্যরা।
এদিকে, তালেবান মুখপাত্র সোহেল শাহিন রাশিয়ার বৃহত্তম বার্তাসংস্থা তাস নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো এবং শুধু রাশিয়া নয়, কোনো দেশের দূতাবাসেই আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।’
আশির দশকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করেছিল, সেসময় সোভিয়েত বাহিনীকে প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল সশস্ত্রগোষ্ঠী ‘মুজাহিদিন’। পরে এই মুজাহিদিন গোষ্ঠীই নিজেদের নাম পরিবর্তন করে ‘তালেবান’ রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মুজাহিদিন গ্রুপ তৈরি হয়েছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে।
তবে প্রায় চার দশকের ব্যবধানে বিশ্বরাজনীতির অনেক হিসাব উল্টে পাল্টে গেছে। এখন তালেবানগোষ্ঠীর প্রধান বৈরীপক্ষের নাম যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসএমডব্লিউ