আফগান সেনার সংখ্যা ৫০ হাজারের কম!
কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই একে-৪৭ বা এর চেয়েও ছোট অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রায় বিনা বাধায় পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে তালেবান। রাজধানী কাবুলসহ গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
এর কারণ হিসাবে দুইজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিবিসি নিউজনাইটকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনী সম্পর্কে সরকারিভাবে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, বাস্তবে তার তুলনায় দেশটির বাহিনী অনেক ছোট।
বিজ্ঞাপন
অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনেকবার বলেছেন, তিন লাখ সদস্যের আফগান সামরিক বাহিনীকে কোটি কোটি ডলারের সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানকার দুইজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, আসলে আফগান সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৫০ হাজারেরও কম।
বিবিসি অবশ্য এই তথ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি। কিন্তু সেটা যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তালেবানের পক্ষে খুব সহজেই কাবুল ও আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কারণ পরিষ্কার হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আফগান সামরিক বাহিনীর ৫০ হাজার সেনা সদস্য থাকার কোনো গোয়েন্দা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে কি না, সেটি হোয়াইট হাউসের কাছে জানতে চেয়েছে বিবিসি।
তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বিবিসির এই প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি।
এদিকে কাবুল থেকে ছেড়ে আসা একটি পরিবহন বিমানের চাকায় মানব দেহাবশেষ পাওয়ার ঘটনা তদন্ত করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কাবুল থেকে ওই বিমানটি গত সোমবার ছেড়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানরা কাবুল বিমানবন্দরে হুড়োহুড়ি করে একটি সি-১৭ পরিবহন বিমানে ওঠার চেষ্টা করছে। বিমানটি আকাশে উঠতে শুরু করার পর অন্তত দুইজন ব্যক্তি সেটি থেকে নিচে পড়ে গেছেন বলে ভিডিওতে দেখা যায়।
এক বিবৃতিতে মার্কিন বিমানবাহিনী জানিয়েছে, বিমান ঘিরে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় সি-১৭ বিমানের ক্রুরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পরে সেটিকে কাতারের মার্কিন ঘাঁটির দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিমানটি থেকে মানব দেহাবশেষ উদ্ধারের পর সেটি আবারও চলাচল উপযোগী রয়েছে কি না, সেসব পর্যবেক্ষণ করার জন্যই সেটিকে ঘাঁটিতে রাখা হয়েছে।
টিএম