যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। বুধবার (২০ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলের বাইরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জন রবার্টের কাছে শপথ-বাক্য পাঠ করেন তিনি।

অবশ্য শপথ গ্রহণের পর সময়ের কোনো অপচয় না করেই অনেকগুলো নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। অন্তত ১৫টি আদেশে তিনি স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আগামী কয়েকদিনে আরও কিছু আদেশে তিনি স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম দুই সপ্তাহে আটটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। আর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বাক্ষর করেছিলেন নয়টি আদেশে। সেই হিসেবে প্রথম দিনেই ১৫টি নির্বাহী আদেশে বাইডেনের স্বাক্ষর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।

এসব আদেশে স্বাক্ষরের মাধ্যমে সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতি ও সিদ্ধান্ত পাল্টে দিচ্ছেন বাইডেন।

শপথ নেওয়ার পর হোয়াইট হাউসে যাওয়ার সময় টুইটারে দেওয়া বার্তায় বাইডেন বলেন,‘নষ্ট করার মতো সময় আমাদের হাতে নেই। বিশেষ করে যখন আমরা এই সংকটের মুখোমুখি।’

পরে হোয়াইট হাউসে পৌঁছে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন নাগরিকদের সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণা দেন বাইডেন। এমনকি জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং বর্ণবিদ্বেষ ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো পরির্বতনেও আদেশে স্বাক্ষর করেন বাইডেন।

নতুন ১৫টি আদেশে স্বাক্ষরের বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রেসডেন্ট ট্রাম্পের ধংসাত্মক সিদ্ধান্তগুলো কেবল পরিবর্তন করতেই নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতেও কাজ করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

এর আগে বুধবার শপথ নেওয়ার আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে জরুরিভিত্তিতে ১৫টি আদেশে স্বাক্ষর করার কথা বলেছিলেন বাইডেন। এগুলো হচ্ছে:

• ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল।

• প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালা বাতিল।

• মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহে ট্রাম্পের দেওয়া জরুরি ঘোষণা প্রত্যাহার।

• কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিজীবীদের জন্য এবং ফেডারেল ভবন ও হোয়াইট হাউসে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নতুন অফিসে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ।

• মুসলিম দেশ থেকে ভ্রমণ ইস্যুতে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বাতিল।

• কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দেওয়া অনুমোদন প্রত্যাহার। পরিবেশবাদীরা এই পাইপলাইনের বিরোধিতা করছে।

সূত্র: বিবিসি

টিএম