পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় সেনা অভিযানে সশস্ত্রগোষ্ঠী পাকিস্তান তালেবানের পৃথক দুই অংশের দুই শীর্ষ নেতাসহ মোট পাঁচজন নিহত হয়েছেন।  

রোববার বিবৃতি দিয়ে পাক সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান’র (টিটিপি বা পাকিস্তান তালেবান) এক সময়কার সদরদপ্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলী ও কাইসুর এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।   

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘অভিযানে গোষ্ঠীটির দুই শাখা টিটিপির (এককে) কমান্ডার আবিদ নামে পরিচিত সৈয়দ রহীম এবং টিটিপির (গোহাড় গ্রুপের) কমান্ডার সাইফুল্লাহসহ মোট পাঁচজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।’ 

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দাবি, ২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ১৭টি হামলার সঙ্গে রহীম প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং সম্প্রতি জেলাটি বেশ কিছু টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি।

দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর থেকে টার্গেট করে গুলি করা কিংবা আইইডি বিস্ফোরণের মাধ্যমে হওয়া বেশ কিছু হামলায় উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।  

রহীম নতুন করে সন্ত্রাসী নিয়োগ দিয়ে তাদের সংগঠিত করার মাধ্যমে টার্গেট কিলিংয়ের জন্য নিয়োগ দিতেন। আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষিত করতে দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাতেন তিনি।  

গত রোববারের ওই সেনা অভিযানে নিহত পাকিস্তান তালেবানের আরেক অংশের নেতা সাইফুল্লাহ নূর পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আইইডি বিস্ফোরণের মাধ্যমে বেশ কিছু হামলার সঙ্গে জড়িত।   

২০১৪ সালে উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও আশপাশের জেলাগুলোতে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে পাক সেনাবাহিনী। এতে করে ঘাঁটি গেড়ে থাকা পাকিস্তান তালেবান ওই এলাকা থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়।
 
এএস