চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, গত বছর দেশটি ২২ হাজার কোটির বেশি ফেস মাস্ক রপ্তানি করেছে। বলা হচ্ছে, এটা দিয়ে চীনের বাইরে বিশ্বের বাকি মানুষের প্রত্যেককে প্রায় ৪০টি মাস্ক বরাদ্দ করা যায়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অন্যতম সুরক্ষা সরঞ্জাম মাস্ক। তাই বছরজুড়ে মাস্কের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী।

এক বছরেই ৫ হাজার ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের মাস্ক রপ্তানি করেছে চীন।  

২০২০ সালের প্রথম দিকে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কার্যত বন্ধ করে দিয়েছিল করোনা। লাগাম টেনে ধরেছিল প্রবৃদ্ধির। তাই কোটি কোটি ডলার মূল্যের এই মাস্ক বিক্রি চীনের রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ চালক হয়ে দাঁড়ায়।

চীনের সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী কিয়ান কেমিং বলেন, ‘মাস্ক ছাড়াও চীন ২৩০ কোটি সুরক্ষা সরঞ্জাম ও একশ কোটি করোনা টেস্ট কিট রপ্তানির মাধ্যমে মহামারির বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অন্যতম সুরক্ষা সরঞ্জাম হলো মাস্ক। 

চলতি মাসের শুরুতে চীনের এক শুল্ক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, চীন গত বছর যেসব সুরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করেছে, এর মধ্যে শুধু মাস্কের মূল্য ছিল ৫ হাজার ২৬০ কোটি মার্কিন ডলার। 

চীনের শুল্ক বিভাগের মুখপাত্র লি কুইওয়েন এএফপিকে বলেন, ‘শুধু ২০২০ সালে চীন যে পরিমাণ মাস্ক রপ্তানি করেছে, তা দিয়ে চীনের বাইরে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্য প্রায় ৪০টি করে মাস্ক বরাদ্দ করা যাবে।’

২০২০ সালে বিশ্বের একমাত্র বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

চীনে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোরভাবে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ কার্যকর করার মাধ্যমে সবার আগে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চীনের অর্থনীতি। 

জাতিসংঘ ও আইএমএফ-এর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালে বিশ্বের একমাত্র বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অপরদিকে বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে রেকর্ড পরিমাণে। 

তবে শুক্রবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা চু শিজিয়া আরও জানান যে, চীন এখনও বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘গুরুতর এবং জটিল’ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।

এএস