১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ভারত সরকারের
মোদি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন/ ছবি-পিটিআই
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন শুক্রবার লোকসভায় যে ‘আর্থিক সমীক্ষা প্রতিবেদন’ পেশ করেছেন, তাতে আগামী অর্থবছরে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সমীক্ষা প্রতিবেদনের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে যে, মহামারির অভিঘাত সামলে ঘুরে দাঁড়াবে ভারতের অর্থনীতি। গত বছর ৭ দশমিক ৭ শতাংশ সংকোচনের শঙ্কা থাকলে আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির রেকর্ড তৈরি হবে।
বিজ্ঞাপন
আর্থিক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় ‘ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদনও গত অর্থবছরে আনুমানিক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি সংকোচনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
দেশটির গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে রাজস্ব ঘাটতির হার জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ অনুমান করা হলেও তা আরও বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মোদি সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রহ্মণ্যমের নেতৃত্বে তৈরি প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার সংক্রান্ত ৩টি বিতর্কিত আইন কার্যকর হলে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিরা উপকৃত হবেন।
গত অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে যে আর্থিক ঘাটতির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তা আরও বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে নির্মলা যখন বাজেট পেশ করেছিলেন, তখনও দেশের অর্থনীতিতে করোনার আঁচ লাগেনি।
গণহারে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর ভারতের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার ফের গতি পাবে বলে সরকারিভাবে করা ওই আর্থিক সমীক্ষা প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার থেকেই ভারতে শুরু হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনের সূচনা পর্বে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দেওয়া বক্তৃতা বয়কট করেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসসহ দেশটির ১৮টি বিরোধী দল
মহামারি করোনার অভিঘাতে চার দশক পর গত অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার শূন্যের নীচে নেমে গিয়েছিল। অবশ্য তার আগের অর্থবছর (২০১৯-২০) থেকেই দেশটির প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অধঃপতন শুরু হয়।
করোনায় তা প্রকট হয়েছে শুধু। করোনার কারণে আমদানি-রফতানি হ্রাস, কল-কারখানায় উৎপাদন প্রায় বন্ধ ও হোটেল, পর্যটন, বিমান ও রেস্তোরাঁ ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির অর্থনীতি।
এএস