দুই কোটির বেশি বাসিন্দার শহর নয়াদিল্লির অর্ধেকের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের করা সবশেষ এক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

এর আগে বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করা জরিপেও এমন তথ্য উঠে এসেছিল। সরকারিভাবে সম্প্রতি এ তথ্য জানানোর পর, ধারণা করা হচ্ছে দেশটির অনেক মানুষের মধ্যে হয়তো হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে।  

ভারতে এক কোটি ৮ লাখ মানুষের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তবে সম্প্রতি ২৮ হাজার নমুনা নিয়ে প্রকাশিত সরকারি জরিপ ও এর আগের অন্যান্য জরিপের ফল বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি।  

সরকারি ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে পঞ্চম সেরোলোজিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাতে দিল্লির ৫৬ দশমিক ১৩ শতাংশ বাসিন্দার দেহে মহামারি করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা হয়েছে।’   

ভারতীয় ডায়াগনস্টিক কোম্পানি থাইরোকেয়ারের ভারতজুড়ে সাত লক্ষাধিক মানুষের ওপর চালানো পৃথক এক পরীক্ষায় দেখা গেছে দেশটির ৫৫ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। কোম্পানিটির প্রধান গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্যই জানান। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, মহামারি করোনার সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে কোনো দেশের কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের ইমিউনিটি থাকতে হবে। অবশ্য ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন, এর কম হলেও ভাইরাসটির সংক্রমণের বিস্তারের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব। 

এএস