শ্রম ঘাটতি কাটাতে আরও অভিবাসন চায় জার্মানি
ছবি: রয়টার্স
দেশের বিভিন্ন খাতে ব্যাপক শ্রম ঘাটতি দেখা দেওয়ায় অভিবাসন আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন তিনি।
জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম শরিক দল গ্রিন পার্টির এই নেতা সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে বলেন, ‘এই মুহূর্তে জার্মানিতে ৩ লাখ চাকরি খালি আছে এবং সামনে খুব দ্রুত এই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এই শূন্যস্থান যদি দ্রুত পূরণ না হয়, সেক্ষেত্রে আমরা সত্যিকার অর্থেই উৎপাদন সংকটে পড়ব।’
বিজ্ঞাপন
‘স্পষ্টভাবে যদি বলতে হয়, সেক্ষেত্রে আমি বলব- আমাদের অভিবাসী সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে এবং এই অভিবাসীদের অবশ্যই হতে হবে শিক্ষিত ও যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত। সরকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারটি বিবেচনা করছে।’
‘তবে আমার মতে, এমন একটি অভিবাসন নীতি আমাদের অনুসরণ করা উচিত হবে- যার ফলে প্রকৌশল, কারুশিল্পসহ সব উৎপাদনশীল খাতে অভিবাসী কর্মজীবীদের সুষম উপস্থিতি থাকে।’
বিজ্ঞাপন
জার্মানির সরকারি আইন অনুযায়ী, প্রতি শ্রমঘণ্টার ন্যূনতম মজুরি ১২ ইউরো বা ১৩ দশমিক ৬০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ১৭০ টাকা)।
এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে ইউরোপের এই অভিবাসনবান্ধব দেশটিতে সম্প্রতি তীব্র হয়ে উঠছে শ্রম সংকট; এবং গত দুই বছরের মহামারি, বয়স্ক শ্রমজীবীদের অবসরগ্রহণ এবং সেই তুলনায় শ্রমবাজারে কমসংখ্যক যুব শ্রমশক্তির আগমন- ইত্যাদি কারণে দ্রুত এই সংকট কেটে যাওয়ার লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
২০২১ সালে যদিও ৪৫ লাখ মানুষ দেশটির শ্রমবাজারে যুক্ত হয়েছেন, তারপরও চলতি বছর জার্মানির শ্রমবাজারে খালি থাকবে ৩ লাখ চাকরি। ৭ বছর পর, ২০২৯ সালে এই সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৬ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
দশকের পর দশক ধরে নিম্ন জন্মহার ও অসম অভিবাসনের কারণে বর্তমানে জার্মানিতে এই সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে করেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা।
এসএমডব্লিউ