বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রায় চার হাজার ধরন রয়েছে এবং সারা বিশ্বের মানুষ এসব ধরনের কারণেই কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিনবিষয়ক মন্ত্রী নাদিম জাহায়ি। তিনি বলেন, বর্তমানে ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ সকল উৎপাদনকারীরা তাদের টিকার মান উন্নয়নের চেষ্টা করছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নাদিম জাহায়ি বলেন, ‘বর্তমানে আবিষ্কৃত টিকাগুলো করোনার নতুন নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে না; এমন ধারণা সঠিক নয়।’

তিনি বলেন, ‘ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ সকল নির্মাতাই বর্তমানে তাদের ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ করছেন। আমরা যেন করোনার যেকোন ধরনকে হারাতে পারি; তারা এটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রায় চার হাজারের মতো ধরন রয়েছে।’

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, রূপান্তর ও প্রতিলিপির মাধ্যমে করোনাভাইরাসের হাজার হাজার ধরনের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে খুব অল্পসংখ্যকই গুরুত্বপূর্ণ ধরন যেগুলো ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যকে পরিবর্তন করতে পারে।

জাহায়ি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় জেনোম সিকোয়েন্সিং শিল্প রয়েছে এবং করোনার প্রায় সকল ধরনই আমাদের সংগ্রহে আছে। আর এ কারণে আমরা (টিকার উন্নয়নে) কাজ করতে প্রস্তুত।’

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মারা গেছে ২২ লাখ ৬৮ হাজার ৬৭৮ জন।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা এক লাখ পার করায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেসময় তিনি বলেন, মহামারির এই পরিস্থিতির কারণে সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত দায়দায়িত্ব তিনি নিচ্ছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করতে পারি, সত্যিকার অর্থে আমরা সেটাই করেছি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় আমি গভীরভাবে দুঃখিত। এই দুঃখ বোঝানো কঠিন।’

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আর ব্রিটেন রয়েছে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ৯ হাজার ৫৪৭ জন।

সূত্র: রয়টার্স

টিএম