বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পরবর্তী প্রধান হিসেবে নাইজেরিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রতি ওয়াশিংটনের শক্ত সমর্থন প্রকাশ করার মাধ্যমে এ নিয়ে অচলাবস্থার অবসান ঘটালো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। তার নিয়োগ চূড়ান্ত হলে সংস্থাটি প্রথম কেনো আফ্রিকান ও নারী মহাপরিচালক পেতে যাচ্ছে। খবর বিবিসির।

ট্রাম্প প্রশাসন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ইউ মায়ুং-হি নামে আরেক নারীকে সংস্থাটির প্রধান পদে দেখতে চাওয়ার ইচ্ছার কথা জানানোর আগ পর্যন্ত নাইজেরিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা ছিলেন অগ্রভাগে। তারপর থেকে সংস্থাটির প্রধান পদে নিয়োগ নিয়ে জটিলতা আরও দীর্ঘায়িত হয়।  

নাইজেরিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা

বিবিসি শনিবারের অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে লিখেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ইউ মায়ুং-হি অবশ্য এখন তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ডা. এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা শুক্রবার ওই পদের জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রশংসা করেন এবং বলেন, ‘একসঙ্গে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা এখনো বাকি। 

গত অক্টোবরে ডব্লিউটিও’র একটি মনোনয়ন কমিটি বিদায়ী প্রধান রবার্তো আজেভেদোর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ডা. এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ১৬৪ সদস্য রাষ্ট্রকে সুপারিশ করে। তখন সংস্থাটির একজন মুখপাত্র জানান, ‘একটি সদস্য রাষ্ট্র ছাড়া’ বাকি সবাই তাকে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। 

মনোনয়ন দৌঁড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ইউ মায়ুং-হিও অবশ্য এগিয়ে ছিলেন।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে ভয়ঙ্কর ও চীনের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে বর্ণনা করা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ইউ মায়ুং-হিকে সংস্থাটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন। 

ইউ মায়ুং-হি শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে আলোচনার পরই তিনি সংস্থাটির প্রধান হিসেবে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী প্রধানকে সহযোগিতা ও তার সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ডব্লিউটিও-এর সংস্কার প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখবে দক্ষিণ কোরিয়া।’

এএস