সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করায় তিন পৌরসভার নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেগুলো হলো- যশোর পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জের মীর কাদিম পৌরসভা ও জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভা।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পৃথক তিন রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট পংকজ কুমার কুন্ডু, অ্যাডভোকেট এ এফ এম হাকিম ও আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ ইজাজ রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম জি সরোয়ার পায়েল।

যশোর পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে রিটকারী আইনজীবী পংকজ কুমার কুন্ডু ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, গত বছর যশোর পৌরসভার সীমানা বাড়ানো হয়েছে। নতুন ৯টি মৌজা যশোর পৌরসভার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট হয়েছে। গেজেট হওয়ার পরও নতুন মৌজাগুলোকে কোনো ওয়ার্ডে এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ এই ৯ মৌজার অধিবাসীদের কাছ থেকে ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বেআইনি। এটা সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন। তাই যশোর পৌরসভায় নতুন সংযুক্ত হওয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহসহ তিন জন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত যশোর পৌরসভার নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এফ এম হাকিম বলেন, কালাই পৌরসভার ভোটার তালিকায় ৪০০ জন মৃত ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। এছাড়া অনেকেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া কালাই পৌরসভার পাঁচ বাসিন্দা রিট করেছিলেন। আদালত তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেছেন।

মুন্সিগঞ্জের মীর কাদিম পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে রিটকারীদের আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ ইজাজ রহমান বলেন, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করায় মীর কাদিম পৌরসভার নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন উচ্চআদালত।

মুন্সিগঞ্জের মীর কাদিম ও জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভায় চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল। এছাড়া যশোর সদর পৌরসভায় পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল।

এমএইচডি/এফআর