আইনমন্ত্রী আনিসুল হক/ফাইল ছবি

রাষ্ট্র নিয়োজিত পাবলিক প্রসিকিউটরদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আদালত অঙ্গনে দুর্নীতি সংক্রান্ত সকল ট্রাডিশনাল প্রাকটিস পরিহার করুন। সততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করুন।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) নিয়ে ২২তম প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভার্চুয়ালি এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা একটা নতুন বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছি। করোনাভাইরাস নামের এই বৈশ্বিক মহামারিতে আমাদের জীবনের অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়েছে। এই নতুন যুগের সূচনায় শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ডিজিটাল উন্নয়ন করেছি। এই সফলতার কারণে আজকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।

ভার্চুয়াল কোর্ট চালু হওয়ার পরে ৭২ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। এতে সারা বিশ্বে আমাদের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে।

প্রশিক্ষণার্থী পিপি ও জিপিদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা জেলার সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা। আপনাদের বেতন বা সম্মানী পরিববর্তন করার চেষ্টা করছি। আশা করছি তার একটা ব্যবস্থা করতে পারবো।

৩০ লাখের বেশি মামলা বিচার বিভাগে আটকে আছে। এই মামলা যদি আমরা শেষ না করতে পারি তাহলে জনগণ বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাবে। আমরা কেউ চাই না সেটা হোক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

 

মামলার বিশাল জটকে চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৩০ লাখের বেশি মামলা বিচার বিভাগে আটকে আছে। এই মামলা যদি আমরা শেষ না করতে পারি তাহলে জনগণ বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাবে। আর জনগণ যদি বিচার ব্যবস্থার উপর যদি আস্থা হারায় তার পরিস্থিতিটা কি হবে তা আপনারা সকলেই জানেন। আমরা কেউ চাই না সেটা হোক।’

এ জন্যই মীমাংসাযোগ্য মামলাগুলো আদালতের বাইরে নিষ্পত্তিতে জোর দিতে হবে। আর তাতে নেতৃত্ব দিতে হবে আপনাদেরকেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দেওয়ানী মামলা দাদা শুরু করে গেলে এরপর বাবা হয়ে নাতি পর্যন্ত সেই মামলা পরিচালনার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।  আমরা আর এই অবস্থার মধ্যে থাকতে চাই না। এই অবস্থা পরিবর্তন করতে গেলে যা যা দরকার সেটা করতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ। আধুনিক বিশ্বে নরমাল কোর্টের বাইরেই ৯০ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। আমাদের সেখানেই যেতে হবে। আদাতের বাইরে মামলা নিষ্পত্তিতেও সরকারি কৌঁসুলিদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এমএইচডি/টিএম