মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যা মামলায় আসামি রাকিবুর রহমান ওরফে রাকিবের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির-উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী একেএম ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

গত ২৪ মার্চ রাতে মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচাবাজারে নিজের রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি। এ সময় টিপুর গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

এই মামলায় গত ১৬ জুন রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৩ জুন নিম্ন আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।

আরও পড়ুন : দুবাই বসে টিপু হত্যার ছক কষেন মুসা

টিপু ও প্রীতি হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে নাম আসে দুবাইয়ে থাকা মুসার নাম। জানা যায়, ঘটনার আগেই ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান মুসা। 

পুলিশ সদরদপ্তর ৮ এপ্রিল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে। ৮ মে জানা যায়, মুসা দুবাই থেকে ওমানে প্রবেশ করেছেন। এরপর ইন্টারপোলের ওমান শাখার সহযোগিতায় গত ১২ মে মুসাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৯ জুন বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। 

উল্লেখ্য, টিপু হত্যার ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল শাহরিয়ার ওরফে শর্টগান সোহেল ও যুবলীগ নেতা মারুফ রেজা সাগরকে। পুলিশের দাবি, সোহেল এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড, সাগর অস্ত্র সরবরাহকারী। 

এর আগে, শনিবার এই ডাবল মার্ডারের সঙ্গে যুক্ত আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, মতিঝিলের জাতীয় পার্টি নেতা জুবের আলম খান রবিন, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান টিটু, আরিফুর রহমান সোহেল ও খায়রুল আলম।

এমএইচডি/আরএইচ