সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে কিনা, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসকে আগামী রোববারের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। ওইদিন পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।

রোববার (৭ আগস্ট) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গঠিত জেলা মনিটরিং কমিটির সভায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় গত ১ আগস্ট গণধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।

রিটের পক্ষের আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন বলেন, গত বছরের জানুয়ারিতে ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজির মামলায় চলতি বছরের মে মাসে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী ওই তরুণীর স্বামী এ রিট করেছেন।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন।

মামলায় আট জনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী। অভিযোগ পত্রে নাম থাকা আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।

এছাড়া, এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আসলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এমএইচডি/এমএইচএস