সাঈদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ১১ জানুয়ারি
দেলোয়ার হোসেন সাঈদী
দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে ১১ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে পারেনি বলে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আসামি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর আইনজীবী এস এম কামাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ দিন সকালে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর নেতৃত্বে ছিল ফিরোজপুর ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শরিয়তপন্থি ও জাকাত বোর্ডের অনুমোদন না নিয়ে জাকাতের অর্থ নিজ কর্মীদের মাঝে বণ্টন করেন।
কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে আরও দেখতে পায়, মো. ফজলুল হক নামের জৈনক ব্যক্তি পপুলার ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার ঘর পাকা দালান এবং তিনি জামায়াতের কর্মী। শরিয়ত মোতাবেক তিনি জাকাত পাওয়ার যোগ্য নন। অথচ তাকে জাকাতের অর্থ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জাকাতের অর্থভোগী রহিমা খানম জামায়াতের রুকন ছিলেন, আমিরুল ইসলাম জামায়াতের আমির এবং মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিলেন ইউনিয়ন সেক্রেটারি। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী জাকাতের অর্থ নিজে কর্মীদের মাঝে বিতরণ করেন এবং নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার ২৫ জনের মধ্যে জাকাতের অর্থ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ১১ জন নিজ গ্রাম ও ইউনিয়নের, আটজন পাড়েরহাট ইউনিয়নের, তিনজন পড়শি ও তিনজনের ঠিকানা নেই। এভাবে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী দলীয় লোকের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
ওই ঘটনায় ২০১০ সালের ২৪ মে ইসলামী ফাউন্ডেশনের পরিচালক আইয়ুব আলী চৌধুরী মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ গাজীওয়াজেদ আলী অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
টিএইচ/এফআর