বগুড়ায় দুই স্কুলে জিয়ার নাম পুনঃস্থাপন নিয়ে হাইকোর্টের রুল
হাইকোর্টের ছবি
বগুড়া গাবতলী উপজেলার দুটি স্কুল থেকে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দেওয়া সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্কুল দুটিতে কেনো জিয়াউর রহমানের নাম পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
স্কুল দুটির একটি হলো- শহীদ জিয়াউর রহমান গালর্স হাইস্কুল, যা পরিবর্তন করে সুখানপুকুর বন্দর গালর্স হাইস্কুল করা হয়েছে। অপরটি, গাবতলী শহীদ জিয়া হাই স্কুল, যা পরে গাবতলী পূর্বপাড়া হাইস্কুল করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন মো. আকতার রসুল মুরাদ, নুসরাত ইয়াসমিন, আব্দুল্লাহিল মারুফ ফাহিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. কামরুল হাসান স্কুল দুটির নাম পরিবর্তন করতে আদেশ দিয়েছিলেন। পরে এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ আদেশ দেন।
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ২০০০ সালে প্রথম স্কুলটি শহীদ জিয়া হাইস্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলের সব কার্যক্রম সেই নামেই পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল কোনো কারণ উল্লেখ করা ছাড়াই নাম পরিবর্তন করা হয়। একইভাবে ১৯৯৬ সালে গাবতলী শহীদ জিয়া হাই স্কুল নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেটির নামও চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পরিবর্তন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আজ শুনানি শেষে আদালত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া স্কুলের নাম পরিবর্তনের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে কেনো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
এমএইচডি/এমএইচএস