প্রশান্ত কুমার হালদার

১২৯ ঋণখেলাপির কাছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পাওনা প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের কাছেই আর্থিক এ প্রতিষ্ঠানটি পাওনা রয়েছে ২৫৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৩ টাকা।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ঋণখেলাপিদের তালিকায় ১২৯ জনের মধ্যে পি কে হালদারের নাম এসেছে পাঁচ বার। তিনি চারটি কোম্পানি ও নিজ নামে এই টাকা ঋণ নিয়েছেন। বুধবার (৭ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ১২৯ ঋণখেলাপিকে হাইকোর্টে তলবের লিখিত আদেশে এ তথ্য এসেছে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারসহ ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ১২৯ ঋণখেলাপিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৪ ও ২৫ মে তাদেরকে আদালতে হাজির হয়ে কবে, কীভাবে টাকা পরিশোধ করবেন সে বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ তাদেরকে তলবের লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছেন। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পি কে হালদারসহ ১২৯ ঋণখেলাপির কাছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পাওনা প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা। গ্রাহকের এই টাকা কবে, কীভাবে তারা পরিশোধ করবেন তা জানতে আদালত তলব করেছেন। ১২৯ ঋণখেলাপির মধ্যে ১০০ জনকে ২৪ মে ও ২৯ জনকে ২৫ মে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২১ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও এর বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশে গত ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৫৮ জন ঋণখেলাপি হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন।

হাইকোর্ট তাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, আগে টাকা দেবেন এরপর আলোচনা। না দিলে কারাগারে যেতে হবে। আদালতের তলব আদেশের পরও হাজির না হওয়ায় পিপলস লিজিংয়ের ১২২ ঋণখেলাপির বিদেশ গমনে গত ৯ মার্চ নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ঋণখেলাপিদের থেকে টাকা আদায়ে হাইকোর্টের আদেশের ধারাবাহিকতায় এবার ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ১২৯ ঋণখেলাপিকে তলব করলেন আদালত।

এমএইচডি/এফআর