হাইকোর্টের ফাইল ছবি

আসামির সঙ্গে আপস করায় ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত আসামি আলী হোসেনের আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত বলেছেন, বিদ্যমান আইনে এ ধরনের গুরুতর অপরাধের মামলা আপসের সুযোগ নাই। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উচ্চ আদালতে জামিন আবেদনে বাদীর দাখিলকৃত অঙ্গীকারনামার সত্যতা পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ২২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সারুটিয়ায় ভাড়া বাড়িতে রাত ৮টার দিকে ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এ ঘটনায় তিনি নিজেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাসা পরিবর্তনের সময় ওই নারীর স্বামীকে এক হাজার টাকা ধার দেয় আসামি আলী হোসেন। টাকা নেওয়ার জন্য আসামি বিভিন্ন সময়ে বাসায় আসত এবং এক পর্যায়ে স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে ওই নারী জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।

এ অবস্থায় গত ৮ ডিসেম্বর বাদী নিজেই আসামির সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় আপস করে অঙ্গীকারনামা দেন। সেখানে তিনি বলেন, আলী হোসেন পাওনা এক হাজার টাকার জন্য বাসায় আসলে আমার স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। যার সূত্র ধরে স্বামীর কথায় বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করি। পরে স্থানীয় মাতব্বর, ব্যক্তিবর্গ এবং আইনজীবীর পরামর্শে মামলাটি আপসে মীমাংসা করি। এই আপসের কারণে আসামি পক্ষ আমাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে মামলাটির নিষ্পত্তি হলে আমার কোনো আপত্তি থাকবে না।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে মো. মজনু মোল্লা শুনানি করেন।

এমএইচডি/এমএইচএস