দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে দুই দফায় ৭৪ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত ট্রাইব্যুনাল থেকে ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট এক লাখ ৭৩ জন কারাবন্দি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।

বুধবার (৫ মে) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে পাঠানো তথ্য ভিত্তিক পরিসংখ্যানে বলা হয়, দুই দফায় ৭৪ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২২১টি ফৌজদারি মামলায় জামিনের আবেদন ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় এবং মোট এক লাখ ৭৩ জন কারাবন্দি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে মুক্ত হয়েছেন।

ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর প্রথম দফায় ২০২০ সালের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৫৮ কার্যদিবসে সারা দেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি এবং ৭২ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর হয়।

এদিকে দ্বিতীয় দফায় ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত মোট ১৬ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ৫১ হাজার ৮৮২টি মামলায় জামিনের দরখাস্ত ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় এবং মোট ২৭ হাজার ৮৪৪ জন কারাবন্দি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে মুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ কার্যদিবসে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে মোট জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৩৬৭ জন।

দ্বিতীয় দফায় ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে গত ১২ এপ্রিল ১ হাজার ৬০৪ জন, ১৩ এপ্রিল ৩ হাজার ২৫৯ জন, ১৫ এপ্রিল দুই হাজার ৩৬০ জন, ১৮ এপ্রিল ১ হাজার ৮৪২ জন, ১৯ এপ্রিল ১ হাজার ৬৩৫ জন, ২০ এপ্রিল ১ হাজার ৫৭৬ জন, ২১ এপ্রিল ১ হাজার ৩৪৯ জন, ২২ এপ্রিল ১ হাজার ৫৯২ জন, ২৫ এপ্রিল ১ হাজার ৮৩৯ জন, ২৬ এপ্রিল ১ হাজার ৫৯৩ জন, ২৭ এপ্রিল ১৩৯৫ জন, ২৮ এপ্রিল ১৪২২ জন, ২৯ এপ্রিল ১৪১২ জন, ২ মে ১৭২১ জন, ৩ মে ১৭১৪ জন ও ৪ মে ১ হাজার ৫৩৬ জন কারাবন্দি আসামিকে জামিন দেন নিম্ন আদালত।

গত ১২ এপ্রিল (সোমবার) থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের শুনানি হচ্ছে।

এমএইচডি/জেডএস