অনলাইনে ভিডিও ছড়ানোর দোষ স্বীকার মীরাজুলের
কে এম মীরাজুল
অপ্রাপ্তবয়স্কদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় কে এম মীরাজুল দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (৩ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামি মীরাজুলকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
গত মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) মীরাজুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিতেন মীরাজুল। পরে সেসব ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাইতেন বিপুল অংকের টাকা। পুলিশের সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের কাছে রিমান্ডে তিনি নিজের এমন অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। কে এম মীরাজুলের বয়স ২৮ বছর। দেশি-বিদেশি অসংখ্য অপ্রাপ্তবয়স্কের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ছড়িয়েছেন তিনি।
মীরাজুলের বিষয়ে তিনি বলেন, একজন ভারতীয় শিশুর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ঢাকার মুগদা থানাধীন অতীশ দীপঙ্কর সড়কের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ। গ্রেফতারের সময় শিশু পর্ণগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত তার মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডিগুলো জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মীরাজুল অনলাইনে উঠতি বয়সীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে নানা কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করতেন। এসব ভিডিও সংরক্ষণ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সরবরাহ ও আপলোড করতেন। তিনি বিভিন্ন কৌশলে ও প্রলোভনে ছবি ও ভিডিও দিতে উৎসাহিত করতেন।
সাইবার বিভাগ জানায়, সম্প্রতি মীরাজুল তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ আইডি থেকে ভারতীয় এক শিশু ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি দাবি করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে মীরাজুলকে খুঁজতে সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিম, সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, সিটিটিসি ও ডিএমপি একযোগে কাজ করে।
টিএইচ/এইচকে